
রবিবার মানেই অন্বেষণ এর দিন। আজ গিয়েছিলাম মহাপ্রভুর পদধূলি ধন্য শ্রীপাঠ মহুলা। বহরমপুর আর বেলডাঙ্গার মাঝখানে এই শ্রীপাঠ। খাগড়ার তেলগরিয়ার শ্রীপাঠ থেকে বাংলাদেশ যাবার পথে মহাপ্রভু গৌরহরি এই স্থানে বিশ্রাম করেছিলেন ও বিগ্রহ কানাই বলাইকে ভোগ নিবেদন করেছিলেন।ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থে মহাপ্রভুর পার্ষদ ভাবুক চক্রবর্ত্তী উল্লেখ করেছেন এই শ্রীপাঠ মহুলা সম্বন্ধে। বড় সুন্দর গ্রাম মহুলা। ৩৪ নং জাতীয় সড়কে ছেড়ে প্রায় দেড় কিমি ভিতরে গিয়ে এই শ্রীপাঠ। মহাপ্রভুর অন্তরঙ্গ পার্ষদ শ্রী গোবিন্দদাস এর বংশ পরম্পরা এখন এখানে সেবা করছেন। মন্দিরে বিরাজিত কানাই বলাই এর অনুপম দারু বিগ্রহ। নীলাভ বর্নের কানাই এর বদন খানি বড়ই লালিত্যময়। দাদা বলাই মানে বলরাম এখানে বংশী ধারী। শোনা যায় এই শ্রীবিগ্রহ আগেছিল গঙ্গার ধারে। পরে ঠাকুরের স্বপ্নাদেশ পেয়ে বিগ্রহকে এখানে স্থাপন করে পরে মন্দির নির্মান করা হয়।এখানেই এসেছিলেন মহাপ্রভু। নিজে পূজা করেছিলেন কানাই বলাইকে। কানাই বলাই এর দিকে তাকালে চোখ ফেরানো যায় না।মহাপ্রভুর পদধূলির একটা তন্মাত্র স্পষ্ট টের পাওয়া যায়।ঠাকুরের সামনে বসে কিছুক্ষন জপ করলেই যেন গায়ে কাঁটা দিতে লাগে। মনোহরণ সন্ধ্যারতি দর্শনও হল।
কলিকলুষনাশক শ্রীমনমহাপ্রভুর পদধূলিপুতঃ এই শ্রীভূমিতে মাথা ঠেকিয়ে ধন্য ও পরমানন্দ লাভ করলাম।।